দাড়ি গজানোর সঠিক বয়স ও চাপ দাড়ি গজানোর ৬টি প্রাকৃতিক উপায়

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়

প্রতিটি ছেলেই চায় দাড়ি বাড়াতে। দাড়ি বাড়ানোর ইচ্ছা থাকলেই তো হবে না। অনেকের দাড়ি অল্প বয়সেই ভালো ভাবে গজিয়ে যায় আবার কারোর দাড়ি গজানোর সঠিক বয়সে পৌঁছেও দাড়ি গজায় না। আপনার যদি ঠিক ভাবে দাড়ি না গজিয়ে থাকে তাহলে এই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন। চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় গুলি জানার আগে দাড়ি গজানোর সঠিক বয়সটি জেনে নিন।



দাড়ি গজানোর সঠিক বয়স:—


ছেলেদের দাড়ি গজানোর সঠিক বয়স হলো ১৫ বছর থেকে ১৬ বছর। ১৫ বছর বয়সের অনেক ছেলেদের মধ্যে দাড় গজাতে শুরু করে দেয়। অনেক ছেলেদের আবার ২০ বছর বয়সের পর দাড়ি গাজাতে দেখা যায়। দাড়ি গজানোর সঠিক বয়স সবার জন্য এক নয়।


চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়


সেভ করলে কি দাড়ি গজায়:—


আপনি অনেকের মুখেই শুনে থাকবেন যে দাড়ি মোটা বা ঘন করতে প্রতিদিন সেভ করতে হবে। এই ধরণের ধারণা গুলি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বেশি সেভ করলে কোনোদিন দাড়ি মোটা বা ঘন হয় না। দাড়ি সেভ করার পরের দিন দাড়ি আগের তুলনায় অনেকটা মোটা ও ঘন লাগে। এটা অনেকেই লক্ষ করেছে। দাড়ি যখন আমরা সেভ করি বা ছোট করি তারপরের দিন দাড়ি যখন আবার বাড়তে থাকে তখন সেই মোটা জায়গা থেকে বাড়তে থাকে। কারণ আমরা দাড়ি সেভ করার সময় দাঁড়ির মাথার দিকটি কেটে দেয়া হয়। দাড়ি কাটার কিছু দিন দাড়ি ঘন ও মোটা লাগলেও আবার যখন দাড়ি বেড়ে যায় তখন আবার আগের মতন হয়ে যায়। সেই জন্য সেভ করার সাথে দাঁড়ির বৃদ্ধির কোনো সম্পর্ক নেই।


চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়


চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়:—


চুল দাঁড়ির বৃদ্ধি সম্পূর্ণ ভাবে আমাদের হরমোনের উপর নির্ভর করে ও জিন ঘটিত হয়ে থাকে। দাড়ি গজানো হরমোনের উপর নির্ভর করলেও এমন অনেক প্রকৃতিক উপায় রয়েছে যে গুলি ব্যাবহার করলে খুব সহজেই দাঁড়ির গজাতে শুরু করে। চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় গুলি হল-


১। দাড়ি গজাতে পেঁয়াজের:


দাড়ি গজাতে পেঁয়াজের রসের ব্যাবহার অনেক বছর ধরে চলে আসছে। পেঁয়াজের রস লাগানোর ফলে অনেকের দাড়ি গজাতেও দেখা গেছে। পেঁয়াজের মধ্যে থাকা সালফার দাড়ি গজাতে সাহায্য করে থাকে। একটি মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ নিয়ে তার থেকে রস বের করে নিন। এর পর রসটি যেখানে হালকা হালকা দাড়ি বেরিয়ে সেখানে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুঁয়ে নিন। এটি সপ্তাহে ২ দিন ব্যাবহার করুন।



২। স্ট্রেস কম নেওয়া:


বেশি স্ট্রেস নেয়ার কারণে চুল দাঁড়ির বৃদ্ধিতে বাধা পেতে পারে। সেই কারণে আপনি যদি প্রচুর স্ট্রেস নিয়ে থাকনে তাহলে স্ট্রেস নেওয়া কম করুন। বেশি স্ট্রেস নেওয়া একদম উচিত নয়। গবেষণায় দেখা গেছে স্ট্রেস অর্থাৎ মানসিক চাপ নেওয়া কম করলে চুল দাড়ি বৃদ্ধি পায়


৩। ভিটামিনের ব্যাবহার:


দাড়ি গজাতে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শুরু করুন। ভিটামিন সি, এ ও ই দাড়ি গজাতে সাহায্য করে থাকে। সেই কারণে আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে সঠিক পরিমানে ভিটামিন উপস্থিত রয়েছে কিনা লক্ষ করুন।


৪। আমলকির ব্যাবহার:


দাড়ি বৃদ্ধি করতে আমলকির ব্যাবহার অন্যতম। দাড়ি বাড়ানোর জন্য আমলকির তেল লাগিয়ে কয়েক মিনিট হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে পারেন। ম্যাসাজ করার ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। যেই কারণে দাড়ির বৃদ্ধি বেড়ে যাবে।


৫। পর্যাপ্ত ঘুম:


প্রতিদিন রাতে কমকরে ৭ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। প্রতিদিন রাতে ভালো করে ঘুমানোর ফলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি দাড়ি গজাতেও সাহায্য করে।


৬। প্রোটিন যুক্ত খাবার:


দাড়ি গজানোর জন্য প্রতিদিনের ডায়েটে প্রোটিনের মাত্রা সঠিক রয়েছে কি না সেটা লক্ষ্য করুন। প্রোটিন দাড়ি ও চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন মাছ, মাংস, ডিম খেতে পারেন। যারা মাছ মাংস ডিম খান না তারা উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যুক্ত খাবার যোগ করুন।


আরও পড়ুন:- তরুণ পুরুষদের মধ্যে কম টেস্টোস্টেরনের কারণ কি? টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা


( হেলথ নিয়ে সমস্ত খবর আগে পেতে আমাদের পেজ গুলিকে ফলো করুন- whatsapp, telegram, facebook, google news )