পটাশিয়াম মুক্ত খাবার কি কি, শরীরে পটাশিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ গুলি কি কি জেনে নিন

পটাশিয়াম যুক্ত খাবার কি কি

মানবদেহের যে সমস্ত খনিজ পদার্থের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো পটাশিয়াম। শরীরে পটাশিয়াম কমে যাওয়ার কারণে নানা ধরণের অসুবিধার দেখা দিতে শুরু করে। পটাশিয়াম আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বাইরে বের করে দিতে ও কিডনির স্টোনের মতন বড়ো রোগ থেকে ও স্নায়ু এবং শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। পটাশিয়াম মানবদেহের কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো পুষ্ঠিকর খাবার কম খাওয়া বা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়া। একজন প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রিতিদিন ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম খাওয়া দরকার। অনেকের পক্ষে এটি সম্ভব হয়ে ওঠে না প্রতিদিন পটাশিয়াম কম খাওয়ার কারণে শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে। শরীরে পটাশিয়ামের অভাব দেখা দিলে এই ১০ টি খাবার খেতে পারেন এর মধ্যে ভালো পরিমানে পটাশিয়ামের উপস্থিত থাকে। সেই খাবার গুলি কি কি জেনে নিন।


শরীরের জন্য পটাসিয়ামের উপকারিতা —


পটাশিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া কেনো খাবেন? পটাশিয়াম শরীরের পক্ষে কেনো দরকারি? এই রকম প্রশ্ন সবার মাথায় এসে থাকে। পটাশিয়াম যুক্ত খাবর খাওয়ার ফলে মানবদেহের কোন কোন অঙ্গ প্রতঙ্গ ভালো থাকে জেনে নিন—


  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পটাশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

  • পটাশিয়াম যুক্ত খাবার কিডনিতে পাথরের ঝুকি কমিয়ে দেয়।

  • হারের ক্ষয় রোধ করতে পটাশিয়াম সাহায্য করে।

  • শরীরে অতিরিক্ত জল বের করতে সাহায্য করে।

  • স্নায়ু সচল রাখতে ও ব্রেন ষ্টোকের ঝুকি কমাতে পটাশিয়াম সাহায্য করে।

  • পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রন করতে।‌ 


আরও পড়ুন:- ফ্যাটি লিভার ঘরোয়া উপায় ঠিক করার ৫টি উপিয়ে


পটাশিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ—


মানবদেহের জন্য পটাশিয়াম হলো একটি খুব দরকারি খনিজ পদার্থ। পটাশিয়াম যুক্ত খাবার কি কি জানার আগে আমাদের শরীরে কি কি লক্ষণ গুলি দেখলে বুঝবেন যে শরীরে পটাশিয়ামের অভাব হয়েছে। সেই গুলি জেনে নিন।


  • শরীরে পটাশিয়ামের অভাব দেখা দিলে সবার প্রথমে শরীরে দুর্বল ও ক্লান্ত ভাব দেখা দেবে।

  • পটাশিয়াম কমে যাওয়ার কারণে হজমে অসুবিধা দেখা দিতে শুরু।

  • শ্বাসকষ্ট অসুবিধা হতে পারে পটাশিয়াম কমে যাওয়ার কারণে।

  • সবসময় মেজাজের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।

  • পটাশিয়াম কমে যাওয়ার কারণে পেশিতে ব্যাথা ও পেশিতে খিঁচুনি শুরু হত দেখা যায়।



পটাশিয়াম যুক্ত খাবার কি কি —


১। বিট:


বিট হলো পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস। বিট আপনি রান্না করা খাবারে বা স্যালাড বানিয়েও খেতে পারেন। এক কাপ বিটের রসে প্রায় ৫১০ মিলিগাম পটাশিয়াম থাকে। বিট আমাদের হার্ট ভালো রাখতে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দারুন উপকারী।


২। কলা:


শরীরে পটাশিয়ামের মাত্র বজায় রাখতে প্রতিদিন একটি বা দুটি করে কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। মাঝারি মাত্রায় কলায় ৪৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। কলার মধ্যে আরও অনেক ধরণের পুষ্ঠিগুন রয়েছে।


আরও পড়ুন:- প্রতিদিন সকালে কাঁচা হলুদ খাওয়ার ৫টি অপকারিতা


৩। পালংশাক:


বিশেষজ্ঞের প্রতিটি মানুষকে সবুজ শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। সবুজ শাকসবজির মধ্যে পালংশাক অন্যতম। পালংশাকের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের খনিজ পদার্থের উপস্থিত থাকে। অন্যান্য খনিজ পদার্থের মতো পালংশাকে ৮০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পাওয়া যায়।


৪। মিষ্টি আলু:


মিষ্টি আলু হলো পটাশিয়ামের অন্যতম একটি উৎস। মাঝারি মাপের মিষ্টি আলুর মধ্যে ৪৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। এটি নিয়মিতভাবে খাওয়ার ফলে শরীরে পটাশিয়ামের অভাব হতে কম দেখা যাবে।


৫। কমলা লেবু:


কমলা লেবুর মধ্যে শুধু ভিটামিন সি থাকে না এর মধ্যে ভালো মাত্রায় পটাশিয়াম পাওয়া যায়। কমলা লেবুর মধ্যে ২৫০ মিলিগ্রামের বেশি পটাশিয়াম থাকে।


৬। বেদানা:


বেদানার মধ্যে ভিটামিন সি, কে থাকার পাশাপাশি এর মধ্যে পটাশিয়াম থাকতে দেখা যায়। প্রতিদিন একটি মাঝারি সাইজের বেদানার খাওয়ার ফলে শরীরে ৬৬৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম শরীরে পৌঁছায়।


আরও পড়ুন:- ঘাড়ে ব্যাথা দূর করা ঘোড়ায়া উপায়


( হেলথ নিয়ে সমস্ত খবর আগে পেতে আমাদের পেজ গুলিকে ফলো করুন- whatsapp, telegram, facebook, google news )


Tags