রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর কার্যকারী ৬টি ঘরোয়া উপায়

কোলেস্টেরল কমানোর ঘরোয়া উপায়

কোলেস্টেরল সকল মানুষের শরীরে রয়েছে। কোলেস্টেরলের দুটি ভাগ আছে একটি হলো এলডিএল কোলেস্টেরল ও আরেকটির নাম হলো এইচডিএল কোলেস্টেরল। এলডিএল কোলেস্টেরলকে খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয়ে থাকে। খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ার কারণে আমাদের হৃদ রোগের ঝুকি বেড়ে যায়। এটি আমাদের শরীরে ধমনীর মধ্যে ক্ষতক প্লাকের প্রাচীর তৈরী করে দেয় যেই কারণে রক্ত চলাচলে অসুবিধা হয়। আর ভালো এইচডিএল কোলেস্টেরলকে ভালো কোলেস্টেরল বলা হয়। এটি আমাদের শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরলকে দূর করতে সাহায্য করে। এইচডিএল এর পরিমান বাড়লে হৃদ রোগের ঝুকি কমে যায়। খারাপ কোলেস্টেরল লেভেল বেড়ে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। ভুল জীবনযাপনের কারণে কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে। কোলেস্টেরল বাড়লে ঔষুধ খেয়ে কিছুটা কম করা যায়। কত বছর ঔষুধ খাবেন। ঘরোয়া উপায় কিভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন জেনে নিন।


কোলেস্টেরল কমানোর ঘরোয়া উপায়:-


১। মধু:


প্রতিদিন মধু খাওয়ার ফলে ধমনীর মধ্যে খারাপ কোলেস্টেরলকে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। সেই কারণে কোলেস্টেরল ঠিক রাখতে প্রতিদিন সকালে হালকা গরম জলের মধ্যে কিছুটা লেবুর রস দিন ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর এই জলটি পান করুন। প্রতিদিন এই জল পান করার ফলে এলডিএল কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে ও তার সাথে ওজন নির্দিষ্ট থাকবে।


২। আপেল:


প্রতিদিন ডায়েটের মধ্যে একটি আপেল রাখুন। আপেলের মধ্যে থাকা পেকটিন ও ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরল লেভেলকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। যেই কারণে হৃদ রোগের আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।


৩। হলুদ:


হলুদও মধুর মতো ধমনীর থেকে এলডিএল কোলেস্টেরল বের করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন হলুদ দুধের সাথে মিয়াইয়ে পান করতে পারেন। হলুদ খাওয়ার ফলে আমাদের খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়। যেই কারণে ফুসফুস ও হৃদ রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অনেকটা কমে যেতে পারে।


৪। ভেজিটেবল ওয়েল:


রান্নাতে ভেজিটেবিল ওয়েলের ব্যবহার করুন। ভেজিটেবল ওয়েল বলতে সূর্যমুখী তেল, অলিভ ওয়েল রান্নাতে ব্যবহার করুন আর খাদ্যের তালিকা থেকে ঘি, মাখন জাতীয় খাবার বাদ দিন। 


৫। বাদাম:


বাদামের মধ্যে এমন বিশেষ উপাদানের উপস্থিত রয়েছে যেগুলি আমাদের হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্র ৫ শতাংস কমে যেতে পারে।


৬। অ্যালকোহল পান:


কোলেস্টেরলের মাত্র নিয়ন্ত্রণ করতে অ্যালকোহল পান বন্ধ করতে হবে। বেশি পরিমানে অ্যালকোহল পান খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে। 


৬। ব্যায়াম:


খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে প্রতিদিন ব্যায়াম করার প্রয়োজন রয়েছে। ব্যায়াম করা সকলের জন্য উপকারী। ব্যায়াম করতে হবে বলে জিমে যেতে হবে না বাড়িতেই যোগব্যায়াম ও ধ্যান করতে পারেন। প্রতিদিন ব্যায়াম ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করুন


আরও পড়ুন:-


টমেটো কারা খাবেন না | Who doesn't eat tomatoes?


জাঙ্ক ফুড বেশি খাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাবগুলি কি কি