ধূমপান ছেড়ে দিলে শরীরে কি কি পরিবকর্তন লক্ষ করবেন

ধূমপান ছেড়ে দিলে শরীরে কি কি পরিবকর্তন লক্ষ করবেন

ধূমপান করার ফলে আমাদের শরীর আসতে আসতে নষ্ট হতে থাকবে। ধূমপান করার ফলে আমাদের প্রাণ হানী হতে পারে। এটা জানা সত্ত্বেও মানুষ ধূমপান করতে পারে না। ধূমপান করলে মুখে,ফুসফুসে, গলাতে, কিডনিতে এবং মূত্রাশয় ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা অনেকটা বেড়ে যায়। যাদের ধূমপানের নেশা আছে তারা একেবারে ছাড়তে পারে না। আসতে আসতে ধূমপান করা বন্ধ করা উচিত। একে বারে বন্ধ করে দিলে নিকোটিনের অভাবে মাথা ব্যথা শুরু হবে ও মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। ধূমপান বন্ধ করে দিলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা অনেকটা কমে যায়। ধূমপান ছেড়ে দিলে আবার পরে ধূমপানের নেশা শুরু করলে আরো সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে। ধূমপান ছাড়ার পর মানুষের শরীরে কি কি পরিবর্তন হয় জেনে নিন।


১। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ২০ মিনিট পর থেকে আপনার শরীরে রক্তচাপ নরমাল হতে শুরু করবে। ধূমপান করার ফলে সিগারেটে থাকা নিকোটিন আপনার শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে সক্রিয়ে করে রাখে যেই কারণে ধূমপান করা বন্ধ করে দিলে তা ২০ মিনিটের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে আসে।


২। ধূমপান ছাড়ার কয়েক মাস পর আপনি খেয়াল করে দেখবেন আপনার শরীরে রক্তচলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করবে ও আপনার ফুসফুসে ৩০ শতাংশ অক্সিজেন নেয়ার ক্ষমতা আরও বেড়ে গেছে এবং আসতে আসতে কাশি বন্ধ হতে শুরু করবে।


৩। ধূমপান বন্ধ করে দিলে আপনার শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কোনো অসুবিধা হবে না ও শরীর আগের তুলনায় আরও হালকা হয়ে গেছে মনে হবে। এই সময় নিকোটিনের অভাবের কারণে সিগারেটের কথা মাথায় আসবে কিন্তু সিগারেট থেকে অনেক দূরে থাকবেন।


৪। সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার কয়েক বছর পর থেকে আপনা হৃদ রোগ হওয়ার সম্ভবনা অনেকটা কমতে শুরু করে। আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে অথাৎ ১০ বছর ধরে ধূমপান না করেন তাহলে আপনার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা কমে যেতে শুরু করবে। আপনি যদি ৫ বছর ধূমপান না করেন তাহলে আপনার করোনারি হার্ট ডিজিজ হওয়ার সম্ভবনা অনেকটা কমে যাবে।


আরও পড়ুন:-


গর্ভাবস্থায় ক্লান্তি কাটানোর পাঁচটি টিপস


জাঙ্ক ফুড বেশি খাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাবগুলি কি কি

Tags