শিশুরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে, বাচ্ছাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়

কোষ্ঠকাঠিন্য অসুখ শুধু বড়োদের হয় না এটি অনেক শিশুর মধ্যে দেখা যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে বাচ্চাদের নানা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। অনেক বাবা মেয়েরা আছে যারা বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে নাকি ঠিক করে বুজতে পারে না। বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে কি না কিভাবে বুঝবেন। বাচ্চারা এক সপ্তাহে যদি তিন দিনের কম মল ত্যাগ করে বা মলত্যাগের সময় যদি মলের সাথে রক্ত বের হয় অথবা পেটে ব্যাথা এই সমস্থ কারণ দেখলে বুঝে যাবেন যে বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে। এটি শুধু ঔষুধ খেলেই ঠিক করা যাবে না এর জন্য কয়েকটি কাজ করুন জার সাহায্যে শিশুরা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবে। ঘরোয়া উপায় কোষ্ঠকাঠিন্য কিভাবে ঠিক করবেন জেনে নিন।


শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়:-


১। প্রচুর জল খাওয়া:

শরীরে জলের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যেতে শুরু করে। বাচ্চারা নিজের থেকে কোন দিন জল খায় না তাদের বকা দিয়ে জল খাওয়ানো হয়। জল বেশি করে পান করার ফলে আমাদের শরীর হাইড্রেশন থাকে। যেই কারণে মল ত্যাগ করতে কোনো সমস্যা হয় না।


২। ব্যায়াম করা:

ব্যায়াম করা শিশুদের শরীরের পক্ষে ভীষণ জরুরি। প্রতিদিন ব্যায়াম করলে শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য কমে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। শিশুদের ব্যায়াম কিরার সময় একটি জিনিস মাথায় রাখবেন যে বাচ্চাদের কোনো ব্যায়াম সময় জাতে না লাগে।


৩। সবুজ শাকসবজি:

বাচ্চাদের খাবারে সবুজ শাকসবজি খাওয়ানো বাড়াতে হবে। সবুজ সাকসবজির মধ্যে এমন সম উপাদান রয়েছে যা বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের অসুখ থেকে রক্ষা করতে লারে। সবুজ শাকসবজির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার। ফাইবার আমাদের শরীরের অন্ত্রের ব্যাথা কমাতে সাহায্যে করে। বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করে বাচ্চাদের শাকসবজি খাওয়ানো শুরু করতে লারবে। 


৪। টয়লেটের রুটিন:

আপনার সন্তানরা প্রতিদিন মল ত্যাগ করছেন না সেই দিকে ভালো করে নজর দিতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মল ত্যাগ করলে ব্যাথা হতে পারে। টয়লেটে যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট রুটিন করা ভীষণ জরুরি।


৫। পেট নরম করার ব্যাবস্থা:

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সময় যা কিছু খাওয়ানো হয় সব কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে নানা মল ত্যাগ করতে গে অসুবিধা জয়। সেই কারণে বাচ্চাদের মল নরম করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরণের ঔষুধ কিনতে পাওয়া যায়। তবে এই ঔষুধ খাওয়ানোর আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া দরকার।


আরও পড়ুন:-


হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর পাঁচটি উপায় যা প্রতিদিন করলে আপনারও অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা কমে যাবে


কিভাবে দ্রুত দাড়ি বাড়ানো যায়? দাড়ি গজানোর ৫টি ঘরোয়া উপায়