শীতকালে বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশি কমানোর ঘরোয়া উপিয়ে গুলি জেনে নিন

বাচ্চাদের সর্দি কাশি কমানোর উপায়

শীতকাল পড়তে না পড়তেই বাচ্চারা সর্দি কাশিতে ভুগতে শুরু করেছে। ঠান্ডা যত বাড়বে বাচ্চাদের সর্দি কাশি ও বাড়তে থাকবে এটা অনেকটা সাধারণ সমস্যা। কিন্তু কোনো বাবা মায়ের চায় না তাদের বাচ্চার কয়েকদিন পর পর শরীর খারাপে ভুগতে থাকুক। শীতকালে বাচ্চাদের এই শরীর খারাপের কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে। সর্দি কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যেমন ওষুধ খাওয়াবেন তেমনি ঘরোয়া কয়েকটি উপায় খুব সহজেই বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন। বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগার হাত থেকে কি ভাবে রক্ষা করবেন জেনে নিন। 


বাচ্চাদের সর্দি কাশি কমানোর উপায়:-


(১) শীতকালে বাচ্চাদের যদি খুব কাশি হয় তাহলে গরম খাবার খাওয়ান। শাক সবজি দিয়ে অথবা মাংস দিয়ে শুপ করেও খাওয়াতে পারেন। গরম খাবার খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের কাশি থেকে অনেকটা আরাম দেবে। আর শাকসবজি বাচ্চাদের শরীরে পুষ্টিগুন বাড়াতে সাহায্য করে। অনেকসময় বাচ্চাদের সঠিক পুষ্ঠির অভাবেও শরীর খারাপ লেগেই থাকে।


(২) শীতকালে বাচ্চাদের গরম তেল মালিশ করতে পারেন। বাচ্চাদের শীতকালে ঠান্ডা লাগলে তেল মালিশ করলে বাচ্চারা অনেকটা আরাম পায়। এটির জন্য সরিষার তেল নিয়ে নেবেন ও তার সাথে কিছুটা রসুনের পেস্ট করে নিয়ে মিশিয়ে দিয়ে গরম করে নেবেন। এর পর তেল হালকা ঠান্ডা হওয়ার পর ভালো করে বাচ্চাদের গলা, বুক, হাতে ও হাতের তালুতে ভালো করে লাগিয়ে দেবেন। এই তেল মালিশের পর বাচ্চাদের অনেকটা আরাম পেতে দেখবেন ও সর্দি কাশি দূর হবে।


(৩) বাচ্চারা প্রতিদিন কম বেশি লজেন্স খেয়ে থাকে। যদি খুসখুসে কাশি কিছুতেই না কমে তাহলে বাচ্চাদের ভিক্স লজেন্স দিতে পারেন। এটি বাচ্চাদের মুখে রেখে আসতে আসতে চুষতে বলবেন। ভিক্স লজেন্স খাওয়ার ফলে খুসখুসে কাশি অনেকটা কমে যেতে দেখবেন।


(৪) শীতকালে বাচ্চারা অনেক সময় ঠিক করে শীতের জামা কাপড় পরে না। বাচ্চাদের ঘর থেকে বাইরে বের করার আগে মাথায় টুপি ও পায়ে মোজা পড়িয়ে বের করবেন। এটিও দেখেবেন যাতে বাচ্চারা শীতের জামা কাপড় পরে ঘামছে কিনা। ঘামের কারণেও সর্দি কাশি হয়। সেই জন্য বাচ্চাদের গরম লাগলে হালকা জামা কাপড় পড়িয়ে রাখুন।


(৫) বাচ্চারা ঘরে বাইরে সব জায়গাতেই হাত দিতে থাকে। সব জায়গায় হাত দেওয়ার কারণে তাদের হাতে অনেক নোংরা লেগে যায় ও বাচ্চাদের একটি বাজে অভ্যাস হলো তারা সবসময় মুখে হাত দেয়। আর এইকারণে নোংরা বাচ্চাদের শরীরে প্রবেশ করে ও বাচ্চারা সর্দি কাশি বা অন্য কোনো বড়ো অসুখে ভোগে।বাচ্চাদের সব সময় হাত ও বাচ্চাদের খেলনা পরিষ্কার রাখুন।


(৬) শীতকালে বাচ্চাদের ঠান্ডা জিনিস খেতে দেবেন না। ঠান্ডা জিনিস খাওয়ার ফলে ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বাচ্চাদের জ্বর ও সর্দি কাশি হয়।


আরও পড়ুন:-


প্রতিদিন সকালে কাঁচা হলুদ খাওয়ার ৫টি অপকারিতা