প্রতিদিন সকালে কাঁচা হলুদ খাওয়ার ৫টি অপকারিতা

হলুদ খাওয়ার অপকারিতা
হলুদ এমন একটি জিনিস যেটি আপনি প্রত্যেকটা বাড়ির রান্নাঘরে দেখতে পেয়ে যাবেন। সমস্ত খাবারে কম বেশি হলুদ থাকবেই না হলে ঠিক রং ও স্বাদ আসে না। হলুদ অনেক ঔষুধে ব্যবহার করা হয়ে আসছে প্রাচীন কাল থেকে। এখনকার সময় হলুদ ঔষুধের সাথে সাথে বিভিন্ন প্রসাধনী জিনিসে ব্যবহার করা হয়। এটির মধ্যে অনেক গুন রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। হলুদের মধ্যে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থেকে শুরু করে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়ালের উপদান থাকে যেই কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হলুদ অনেকে সকালে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে থাকে। শরীর সুস্থ রাখতে সমস্ত কিছু একটি নিদিষ্ট পরিমানে করা খাওয়া উচিত ঠিক সেই রকম হলুদ খুব বেশি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। হলাদ বেশি খাওয়ার ক্ষতিকর কি কি দিক রয়েছে জেনে নিন। 


হলুদ খাওয়ার অপকারিতা:-


(১) প্রতিদিন সকালে কাঁচা হলুদ খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হত পারে। হলুদ বেশি খেলে আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের বিপাকক্রিয়ায় অসুবিধা হতে পারে। যেই কারণে কিডনি আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বাইরে বের করতে পারে না যেই কারণে কিডনিতে ক্যালশিয়াম অক্সালেট নামক পাথরের সৃষ্টি হতে পারে।


(২) কাঁচা হলুদ খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই কারণে বেশি মাত্রায় কাঁচা হলুদ খাওয়া শুরু করে দিলে রক্তে শর্করার মাত্র কমে যেতে পারে ও আপনার শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।


(৩) কেমোথেরাপি চলছে এমন রোগীদের খাবারে হলুদের পরিমান খুব একটা বেশি দেবেন না। হলুদ খাওয়ার হলে কেমোথেরাপি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় সেই কারণে হলুদ কম করে খাওয়াবেন।


(৪) কাঁচা হলুদ বেশি খাওয়ার ফলে আপনার পেট গরম হতে পারে। কারণ কাঁচা হলুদের এফেক্টস হলো গরম। সকালে কাঁচা হলুদ খাচ্ছেন ও সারা দিনে রান্নাতে ও বেশি করে হলুদ খাচ্ছেন সেই ক্ষেত্রে আপনার পেট ফোলাভাব ও গ্যাস অম্বলের সমস্যা বা পেটের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।


(৫) হলুদে ভালো উপাদানের পাশাপাশি আরেকটি উপাদান দেখতে পাওয়া যায় তার নাম হলো কারকুমিন। এই উপাদান বমিবমি ভাব বা ডায়রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সেই কারণে হলুদ একটি নিদিষ্ট মাত্রায় খাবেন না হলে ডায়রিয়ার মতন রোগ দেখা দিতে পারে।


Tags