হুপিং কাশি বন্ধ করার ঘরোয়া ৪টি প্রতিকার

হুপিং কাশি

হুপিং কাশি হলো একটি ছোঁয়াচে রোগ। যেটি এক জন হুপিং কাশিতে আক্রান্ত ব্যাক্তির শরীর থেকে হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে অন্য একটি ভালো মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। হুপিং কাশি হওয়ার শুরুতে আপনার জ্বর ও সর্দি কাশি হতে দেখা যাবে। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্টি কাশি। হুপিং কাশিতে আক্রান্ত ব্যাক্তির কাশি আসতে আসতে বাড়তে থাকবে। কাশি এতটাই বেড়ে যায় যে আক্রান্ত ব্যাক্তি কাশতে কাশতে ক্লান্ত হয়ে পরে। এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করার দশ দিনের মধ্যে ব্যাক্তি হুপিং কাশি রোগে আক্রান্ত হয়। এটি বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলের হতে দেখা যায়। একদম ছোট বাচ্চারা এই রোগে আক্রান্ত হলে তার কাশি নাও হতে পারে কিন্তু শ্বাস প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা দেখা যেতে পারে। হুকিং কাশি বয়স্ক মহিদার মধ্যে বেশি হতে দেখা যায়। হুপিং কাশি কিভাবে বন্ধ করবেন জেনে নিন।


হুপিং কাশির প্রতিকার:-


১। তেল ম্যাসাজ:


তেল ম্যাসেজ হলো এমন একটি পদ্ধতি যার সাহায্য খুব সহজেই শ্বাসযন্তের অনেক সমস্যা ঠিক করা যায়। হুপিং কাশি হচ্ছে বা হুপিং কাশি হওয়ার লক্ষণ গুলি দেখা দিচ্ছে সেই ক্ষেত্রে। নারকেল তেল নিন তার সাথে সামান্য কয়েক ফোটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে নিন। এরপর এই তেলটি ভালো করে পিঠে ও বুকে মেখে নিন। এটি প্রতিদিন করুন খুব তাড়াতাড়ি হুপিং কাশি থেকে মুক্তি পাবেন।


২। মধু:


রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক চা চামচ বা দু চা চামচ মধু নিন ও হুপিং কাশিতে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে খাইয়ে দিন। মধু হুপিং কাশি কমাতে অন্যতম। মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ও আরও অনেক উপকারী ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি সেবনের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মধু খুব বেশি খাবেন না এর ফলে আপনার শরীর গরম হয়ে যেতে পারে।


৩। গার্গীল করা:


সর্দি কাশি হলে গার্গীল করতে পারেন। গার্গীল করলে কাশি থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়। এটি করতে জল হালকা গরম করে নিন ও তার মধ্যে কিছুটা নুন মিশিয়ে নিন। এর পর গার্গীল করুন। এটি দিনে তিন থেকে চার বার করুন হুপিং কাশির ত্যেকে অনেকটা আরাম পাবেন।


৪। হলুদের ব্যাবহার:


হুপিং কাশি দূর করতে হলুদ ব্যাবহার করতে পারেন। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন যৌগ হুপিং কাশি কমাতে সাহায্য করে। সেই কারণে যে সব ব্যাক্তিরা হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হয়ে আছেন তারা নিয়মিত হলুদ খান। বাচ্চাদের দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। 


আরও পরুন:-


দুপুরে ঘুমালে কি ক্ষতি হয়? দুপুরে ঘুমালে কি মোটা হয় যায়?


গরম ভাতের সাথে ঘি খাওয়ার উপকারিতা