মানবদেহে প্রভাব ফেলতে পারে এমন অভ্যাসগুলো কী কী | What are the habits that can affect the human body?

 

মানবদেহে প্রভাব ফেলতে পারে এমন অভ্যাসগুলো কী কী?

শরীর হলো একজন মানুষের কাছে তার খুব দরকারি সম্পদ। কেউ চায় না যে তার শরীর অসুস্থ হোক। আমরা শরীর সুস্থ রাখতে অনেক কিছু করে থাকি। সকালে উঠে শরীর চর্চা করা থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত আমরা অনেক অনেক কিছু করে থাকি শরীর সুত রাখার জন্য। এই সবের মধ্যেও আমরা ভালো অভ্যাসের মধ্যে আমাদের অনেক বাজে অভ্যাস থাকে যেগুলো প্রতিদিন করলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে অথবা শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে হলে সবার আগে ওই বাজে অভ্যাস গুলিকে বাদ দিতে হবে।


কি কি বাজে অভ্যাস বাদ দিতে হবে:-


(১) আমাদের বাজে অভ্যাস গুলির মধ্যে সবার প্রথমেই আসে রাতে দেরি করে ঘুমোতে যাওয়া। যেই পরিমানে কাজের চাপ বাড়ছে অথবা রাত করে সোশ্যাল মিডিয়া চালানো আরো অনেক কারণ থাকে রাত করে ঘুমাতে যাবার। প্রতিদিন রাত করে ঘুমানোর ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে। রাত করে ঘুমিয়ে আবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে আমাদের ঘুম ভালো করে হয় না। জার জন্য সারা দিন ঘুম পেতে থাকে ও কোনো কাজে ঠিক ভাবে মন বসে না। এর ফলে আপনার কাজের ক্ষতি হতে পারে।


(২) ধূমপান আমাদের সাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকারী। এটা সবাই জানে তাও অনেকে আছে যারা ছাড়তে পারেনা। যারা ধূমপান করেন তাদের মধ্যেই বেশি পরিমানে হার্ট অসুখ হতে বেশি দেখা যায়। ধূমপান অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই আবার সকালে বাথরুমে যাবার সময় একটা সিগারেট ধরিয়ে টানতে থাকে এবং বলে সকালে ধূমপান না করলে তাদের পেট পরিষ্কার হয় না। সকালে খালি পেটে ধূমপান করা উচিত নয়। এতে আমাদের শরীর ভীষণ ভাবে খারাপ অ্যাফেক্ট পড়তে পারে। ধূমপানের বাজে অভ্যাস যদি আপনি করে থাকেন তাহলে আপনাকে যত তারাতারি পারবেন ছাড়ার চেস্ট করুন।


(৩) রাতে খেয়ে অনেকেই সোজা গিয়ে বিছানাতে শুয়ে পড়েন। এটা একটা বাজে অভ্যাস শুতে যাওয়ার আগে দাঁত ভালো পরে পরিষ্কার করুন। আমরা সারাদিন ধরে জা কাছি তা অনেকটাই আমাদের দাঁতের মারিতে গিয়ে আটকে থাকে। রাতে দাঁত মাজলে আমাদের দাঁত ও মারি দুটোই পরিষ্কার থাকে জার ফলে দাঁতের অসুখ হওয়ার সম্ভবনা কমে যেতে থাকে। দাঁত না মাজলে এর থেকে পেটের অসুখ হতে দেখা যায়। এর জন্য শুতে যাওয়ার আগে ভালো করে দাঁত মজুন।


(৪) শরীর সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়াম আমাদের শরীরকে যেমন সুস্থ করে তোলে তেমনি আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। আপনার যদি শরীর চর্চা করার অভ্যাস না থেকে থাকে তাহলে তাড়াতড়ি শুরু করুন। প্রতিদিন আপনি ৩০ মিনিট যদি হাঁটা চলা করেন তাহলেও আপনার শরীররের জন্য উপকারী। হাঁটাচলা করার ফলে আমাদের হার্টের অসুখ হবার সম্ভবনা অনেকটা কমে যায়।


(৫) প্রতিদিন ঘরের খাবারের বদলে বাইরের খাবার খাওয়া। বাইরের রোল চওমিন বিরিয়ানি ইত্যাদি বেশি করে খাবার ফলে আমাদের শরীরে খুব খারাপ ভাবে প্রভাব পরে। আপনার যদি বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে সেই অভ্যাস পাল্টানো জরুরি। 


(৬) আপনার যদি অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইট যাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে সেই অভ্যাস খুব তাড়াতাড়ি বদলানো দরকার। ইন্টারনেটের যুগে আপনি এখন ঘরে বসে যা চাইবেন টাই পেয়ে যাবেন। এই ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে অনেক মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি অনেকে পিছিয়ে পড়ছে। বেশি পরিমানে নীল ছবি বা ভিডিও দেখার ফলে আমাদের মাথাতে সব সময় ওই রকম জিনিস ঘুরতে থাকে ফলে ফলে আমার আমাদের কাজে মন দিতে পারিনা। আমাদের শরীরের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি আমাদের কনফিডেন্স কমে যেতে থাকে জার ফলে আছেনা কারোর সাথে আলাপ করতে পারিনা বা কিছু করতে ভয় পাই। 


আরও পড়ুন:-


এই ৫ টি কাজ করুন আপনারও ঠোঁট গোলাপি হয়ে যাবে মাত্র ৭ দিনে


হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর পাঁচটি উপায় যা প্রতিদিন করলে আপনারও অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা কমে যাবে


Tags