৫ বছরে থেকে ১২ বছর বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা

৫ থেকে ১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য এই সময়টি হলো এমন একটি সময় যেখানে। বাচ্চাদের এই সময় শারীরিক ও মানসিক বিকাশ হয়ে থাকে। ছোট শিশুর বাবা মায়েরা তাদের বাচ্চাদের খাবারের পুষ্ঠি গুন ঠিক করে থাকছে কিনা এই নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। এই বয়সে বাচ্চারা ভালো ভাবে কথা বলা শিখে যায় সেই কারণে তাদের কি খেতে ভালো লাগছে তারা নিজেরই বলতে পারে। ছোট বেলায় বাচ্চাদের কখনো পুষ্ঠি কর খাবারে বদলে বাইরের ফাস্ট ফুড খায়াতে নেই এই কারণে বাচ্চাদের শরীরে পুষ্ঠির অভাব দেখা দিতে পারে। ৫ বছর থেকে ১২ বছরের মধ্যে যদি ঠিক করে পুষ্ঠি কর খাবার না খাওয়ানো হয় তাহলে পরবর্তীকালে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।


বাচ্চাদের পুষ্ঠিকর খাবারের তালিকা:-


শস্য জাতীয় খাবার:-


বাচ্চাদের খাবারের তালিকায় শস্য জাতীয় খাবার রয়েছে কিনা সেই দিকে নজর দেবেন। শস্য জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের পাচন প্রক্রিয়া ভালো থাকে। পাচন প্রক্রিয়া ভালো থাকার কারণে পেটের অসুখ হবে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতন রোগ দূরে থাকবে। এছাড়া শস্য জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।


শাকসবজি:-


সবুজ শাকসবজি বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলের খাবারের তালিকায় থাকা ভীষণ জরুরি। সবুজ শাকসবজির মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, প্রোটিন ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ থাকে। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সবুজ শাকসবজি খাওয়ার ফলে ছোটো বাচ্চাদের শরীর হাইড্রেটেড থাকবে ও পাচন প্রক্রিয়া সুস্থ থাকবে।


দুগ্ধ জাতীয় খাবার:-


দুগ্ধ জাতীয় খাবারের তালিকায় প্রথমেই আসে দুধ, দই, ঘি ইত্যাদি। দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের হারের জোর বেড়ে যায়। এর মধ্যে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকে যা হারের জোর বারাতে সাহায্য করে। 


ফল:-


বাচ্চাদের খাবার তালিকায় শাকসবজির পাশাপাশি ফল ও রাখতে হবে। ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি-বি ও অনেক পুষ্ঠিগুন রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। বিভিন্ন ফলে আলাদা আলাদা পুষ্ঠি গুন রয়েছে। প্রতিদিন একটি করে কলা, আপেল, বেদনা, লেবু ইত্যাদি রাখতে পারেন।


প্রোটিন জাতীয় খাবার:-


বাচ্চাদের খাবারে প্রোটিন রয়েছে নাকি সেই দিকে ভালো করে নজর দিতে হবে। প্রোটিন বাচ্চাদের শারীরিক বিকাশের ক্ষেত্রে ভীষণ জরুরি। বাচ্চাদের মাছ, মাংস, ডিম খাওয়ানো উচিত। আবার বেশি করে খাওয়াবেন না এর জন্য বাচ্চাদের গ্যাস অম্বলের সমস্যা হতে পারে। সেই কারণে একটি নিদিষ্ঠ মাত্রায় খাওয়াবেন।


আরও পড়ুন:-


হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর পাঁচটি উপায় যা প্রতিদিন করলে আপনারও অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা কমে যাবে


প্রতিদিন ব্যায়াম করার উপকারিতা যা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন


Tags