গ্যাস অম্বল থেকে মুক্তির ৭ টি ঘরোয়া উপায় | 7 Home Remedies to Get Rid of Gas Heartburn

 

গ্যাস অম্বল থেকে মুক্তির উপায়

বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের হজমের সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু আজকাল কার বাচ্চা ছেলে মেয়েদের কোনো রোগ থাকুক না থাকুক হজমের সমস্যা প্রচুর পরিমানে বেড়ে চলেছে। গ্যাস থেকে আমাদের পেটে জ্বালা যন্তনা শুরু হয়। এই ব্যাথাতে ভালো ভালো লোক অস্থির হয়ে ওঠে কিন্তু ব্যথা কিছুতেই কমানো যায় না। একটু কিছু খেলেই মনে হয় যেন অনেক কিছু খেয়ে ফেলেছে। গ্যাসের ব্যাথা আমাদের ভুল লাইফ স্টাইলের জন্য হয়ে থাকে। তেলে ভাজা খেলে তো আর রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ডাক্তারের কাছে যেতে বাধ্য হয়ে ওঠে। ডাক্তারের কাছে গেলেই এক সাথে অনেক ওষুধ ধরিয়ে দেয়। বেশি ওষুধ খাওয়ার ফলে অনেক সাইড এফেক্ট দেখতে পাওয়া যায়। ঘরোয়া অনেক উপায় রয়েছে জার সাহায্যে খুব সহজেই গ্যাসের ব্যাথা, বুক জ্বালা, পেট ভার হয়ে রয়েছে ঠিক করা যায়।ঘরোয়া উপায় গ্যাস অম্বল থেকে মুক্তির উপায় গুলি জানতে হলে নিচে দেওয়া আছে পরে নিন।


গ্যাস অম্বল থেকে মুক্তির উপায়:-


(১) আপনি যদি খুব তেলে ভাজা খান তাহলে সেটিকে এই মুহূর্তে কম করতে হবে অথবা বন্ধ করতে হবে। আপনি একটি ডায়েট বানান সেই ডায়েটের মধ্যে দই রাখুন। দই খেলে আমাদের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। দই প্রতিদিন খাওয়া শুরু করুন। দই আমাদর স্বাস্থের জন্য খুব দরকারি। 


(২) পুঁদিনা পাতা আমরা অনেক কিছুতে খেয়ে থাকি। পুঁদিনা পাতার রস অথবা পুঁদিনা পাতা ফুটিয়ে তার জল খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। পুঁদিনা পাতা আমাদের গলা জ্বালা, পেট ভার, গ্যাস ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে।


(৩) দারুচিনি আমাদের সকলের বাড়ির রান্না ঘরে দেখতে পাওয়া যায়। এই দারুচিনির মধ্যে রয়েছে গ্যাস অম্বল কমানোর এক বিশেষ ক্ষমতা। দারুচিনির খেলে আমরা গ্যাস অম্বল থেকে কুব সহজেই মুক্তি পাই। প্রতিদিন সকালে দারুচিনি গুর করে নিন অথবা বাজারে থেকে দারুচিনি গুর কিনে নিয়ে আসুন ও গরম জলের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়া শুরু করুন কিছু দিনের মধ্যেই নিজেই বুজতে পারবেন।


(৪) ডাবের জল আমাদের গ্যাস অম্বল কমাতে সাহায্য করে। ডাবের জলে যেমন গ্যাস অম্বল কমানোর ক্ষমতা আছে তেমনি ডাবের জল নিয়মিত পান করলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।


আরও পড়ুন:- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ডাবের জল খেলে কি হবে জেনে নিন?


(৫) দিনে একটু বেশি করে জল খেতে হবে। জল কম খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে অনেক রোগ দেখা যায়। দিনে ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান করুন। জল কম খেলে আমাদের শরীরে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় ও অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়। জল রাতে বেশি খাবেন না। রাতে জল বেশি খেলে আপনার ঘুমের ক্ষতি হতে পারে।


(৬) খাবার খাওয়ার পরেই যদি গ্যাসের সমস্যা হয় তাহলে খেয়ে উঠেই মৌরি খাওয়া শুরু করুন। চিবিয়ে খেতে না পারলে প্রতিদিন রাতে মৌরি জলে ভিজিয়ে রাখুন ও সকালে উঠে জল টি খেয়ে নিন।


(৭) দিনে একটা অথবা দুটো করে কলা খান। কলার মধ্যে ভালো পরিমানে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। কলা খেলে তা আমাদের শরীরের অ্যাসিড রিফ্লাক্সের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে জার ফলে হজমের অসুবিধা হয় না।


আরও পড়ুন:-


দারুচিনি খেলে কি হবে? দারুচিনির উপকারিতা কি কি


মানবদেহে প্রভাব ফেলতে পারে এমন অভ্যাসগুলো কী কী


প্রতিদিন কত পরিমানে জল খাওয়া উচিত? বেশি পরিমানে জল খেলে কি হয়?