ঘরোয়া উপায় কিভাবে চুল পড়া বন্ধ করবেন | How to stop hair loss at home

 

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

আমাদের সকলেরই প্রতিদিন চুল পরে যায়। চুল পড়া একটি খুব সাধারণ বিষয়। চুল পরে যাওয়া যেমন একটি সাধারণ বিষয় ঠিক সেই রকমি পরে যাওয়া চুলের জায়গাতে নতুন চুল হতে থাকে। আমাদের প্রতিদিন ১০০ টি চুল ওঠা সাধারন বলে মনে করা হয়। পরে যাওয়া চুলের জায়গাতে যখন নতুন চুল না হয় তখন আমাদের মাথার তালুতে চুলের ঘনত্ব আসতে আসতে কম হতে শুরু করে ও আমাদের মাথায় টাক পড়তে থাকে। আগেকার দিনে একটি বয়সের পর মানুষের মাথায় টাক পড়তে দেখা যেত কিন্তু এখন টাক পড়ার আর কোনো বয়স লাগে না ১৮ বছর বয়সের থেকেই টাক পড়া শুরু হয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। মেয়েদের তুলনাতে ছেলেদের বেশি টাক পড়তে দেখা যায়। চুল পরে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কারণ রয়েছে যেমন প্রচুর পরিমানে বাজে খাবার খাওয়ার ফলে, বেশি চিন্তা করলে, মাথার তালুতে প্রচুর পরিমানে কেমিক্যাল ব্যবহার আরও প্রচুর কারণ রয়েছে চুল উঠে যাওয়ার জন্য। আপনার যদি চুল উঠে যেতে শুরু করেছে তাহলে আর চিন্তা নিতে হবে না আপনি এখন একটি সঠিক প্রতিবেদন পড়ছেন।


আপনি কিভাবে আপনার চুল পড়া বন্ধ করবেন?


মাথার চুল মানুষের সুন্দর্য বাড়িয়ে দেয় ঠিক তেমনি চুল মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও সাহায্য করে। চুল উঠে যাওয়ার যেমন অনেক কারণ থাকে ঠিক তেমনি চুল গজানোর অনেক প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। আমাদের চুল উঠে যাওয়ার কারন অনেক সময় বংশানক্রমিক হয়ে থাকে অথাৎ বাড়ির গুরুজন দের মাথাতে টাক থাকলে সে ক্ষেত্রে আপনার ও একটা সময় পর মাথাতে টাক পরে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। চলুন আর সময় নষ্ট না করে জেনে নিন ঘরোয়া উপায় চুল পড়া বন্ধ করার উপায় গুলি-


(১) খাবার:-


আমাদের কাজের চাপে প্রতিদিন ঠিক ভাবে খাবার খাওয়া হয়ে ওঠে না অথবা প্রচুর পরিমানে বাইরের খাবার খাওয়া হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে আমাদের ভালো খাবার খাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। প্রতিদিন আমাদের প্রোটিন, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, খনিজ উপস্থিত এই ধরণের খাবার খেতে হবে। যেমন - মাছ, মাংস, ডিম, সবুজ সাকসবজি, মৌসুমি লেবু, ইত্যাদি খাবার খেতে হবে। 


(২) তেল মালিশ:-


কমকরে সপ্তাহে দুদিন মাথায় তেল দিয়ে হালকা হালকা করে মালিশ করতে হবে। যাদের মাথার তালু তেল না দিলেই তেল তেল ভাব থাকে তাদের কম করে সপ্তাহে এক দিন তেল দেওয়া উচিত। তেল দেওয়ার সময় মনে রাখতে হবে জাতে বেশি চেপে চেপে মালিশ না করে বেশি জোরে মালিশ করলে অনেক সময় চুল উঠে যেতে থাকে। নিয়মিত মাথায় তেল দিলে মাথার রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় জার ফলে নতুন চুল গজাতে সাহায্যে করে।


(৩) হিট ব্যাবহার বন্ধ:-


চুলে কোনো মেশিনের সাহায্যে হিট দেওয়া বন্ধ করতে হবে। হিট দেওয়ার ফলে আমাদের চুল শুষ্ক হয়ে যায় জার ফলে চুলের গোড়া পাতলা হয়ে যেতে থাকে ও চুল উঠতে থাকে। শীতকালে স্নান করার সময় মাথাতে গরম জল দেওয়া যাবে না। নিয়মিত ভাবে চুলে স্টাইল করার জন্য মাথাতে কোনো হিট দেওয়া জবে না।


(৪) কেমিক্যাল ব্যবহার বন্ধ:-


মাথাতে প্রতিদিন কেমিক্যাল দিলে চুল উঠে যেতে শুরু করে। বেশি পরিমানে কেমিক্যাল দিলে মাথার PH ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যায় জার ফলে চুল উঠে যায়। প্রতিদিন মাথায় শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে হয়। প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করলে মাথার তালু শুষ্ক হয়ে যেতে শুরু করে।


(৫) ময়েশ্চারাইজার :-


নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার করার ফলে আমাদের চুল পড়া অনেকটাই কমে যেতে পারে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার সময় দেখে নিতে হবে জাতে ময়েশ্চারাইজারাতে কোনো রং বা গন্ধ জাতে না থাকে। রং ও গন্ধ আনার জন্য অনেকসময় কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। বাড়িতে তৈরি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।


খাবার চুল পড়া বন্ধ করতে কি খাবেন:-


(১) প্রোটিন:- 


চুল পড়া কমাতে বেশি পরিমানে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য যতটা দরকারি ঠিক সেই রকম চুল পড়া কমাতে ও চুল ঘন করতে প্রোটিন খুব সাহায্যে করে। প্রতিদিন একটি করে গোটা ডিম, মাছ, ও চর্বি হীন মাংস খাওয়া শুরু করুন। যারা মাছ মাংস ডিম খান না তারা মসুর ডাল, মটরশুটি, পনির, রাজমা ইত্যাদি খেতে পারেন।


(২) বাদাম এবং বীজ:-


নিয়মিত বাদাম অথবা বীজ জাতীয় খাবার খাওয়া শুরু করুন। বাদাম চুল বাড়াতে ও ঘন হতে সাহায্যে করে। বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারে জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম থাকে যা চুল তাড়াতড়ি বাড়াতে সাহায্যে করে।


(৩) ভিটামিন:-


ভিটামিন জাতীয় খাবার আমাদের মাথার চুল পড়া কমাতে অনেকটাই সাহায্যে করে। মিষ্টি আলু ও গাজরে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ থাকে। ভিটামিন সি তে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সাহায্যে করে। কমলা লেবু, স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। আমলকিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে তাই প্রতিদিন একটি করে আমলকি খেলে চুল পরে যাওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই কমে যায়।


আপনার যদি চুল উঠে যাচ্ছে বলে খুব চিন্তাতে রয়েছেন তাহলে আপনি একটি ডক্টরের সাথে যোগাযোগ করুন।