হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর পাঁচটি উপায় যা প্রতিদিন করলে আপনারও অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা কমে যাবে



 হার্ট ভালো রাখতে কে না চায় তবে এখন কার দিনে আমাদের বাজে লাইফ স্টাইলের কারণে ১৮ বছর ও ২০ বছরের বয়সের ছেলে মেয়েদের হার্টের রোগ দেখা দিচ্ছে কার ফলে যার ফলে অল্প অল্প বয়সের ছেলে মেয়েদের হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কারণ হলো। হৃদপিন্দ আমাদের শরীরে রক্ত পাম্প করে। আর এই রক্ত সাধারণত দুটি রক্ত নালি দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওই রক্ত নালিতে যখন রক্ত জমাট বেঁধে যায় ও হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছাতে পারে না তখন রক্তের অভাবে হার্ট অ্যাটাক হয়। আমাদের শরীরে হার্ট অ্যাটাক বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। প্রতিবছর হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। হার্ট অ্যাটাক কমাতে হলে ভালো খাবার খাওয়ার সাথে সাথে আমাদের প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করার মানে ওই নয় যে জিমে গিয়ে প্রচুর পরিমানে ওয়েট তুলে হার্ড ওয়ার্ক আউট করতে হবে মাঠে গিয়ে ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করলেই আমাদের হার্ট অনেকটা সুস্থ থাকে। চলুন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর উপায় গুলি জেনে নিন।


হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে কি করবেন:-


(১) হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমাতে প্রথমে তেল ও চর্বি যুক্ত খাবার খাওয়া কমাতে হবে। তেল ও চর্বি যুক্ত খাবারে প্রচুর পরিমানে কলেস্ট্রোল থাকে যা আমাদের রক্ত নালিতে রক্ত জমাট বাধঁতে সাহায্যে করে যার ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। 


(২) হার্ট অ্যাটাক কমাতে হলে প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা করতে হবে। কম করে দিনে এক ঘন্টা ব্যায়াম করুন। যারা ব্যায়াম করার সময় পায় না তারা রাতের বেলাতে খাবার খেয়ে বিছানাতে না শুয়ে অত্যন্ত আধঘন্টা হাঁটাচলা শুরু করু। হাঁটাচলা অথবা ব্যায়াম করার ফলে আমাদের শরীরে রক্ত চলাচলের পরিমান বেড়ে যায় যার ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা কিছুটা কমে যায়। 


(৩) খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে স্যালাড খাওয়া শুরু করতে হবে। বেশি পরিমানে স্যালাড খাওয়ার ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা কমে যেতো থাকে। রান্না করা সাকসবজিও খেতে পারেন। রান্না এমন ভাবে করবেন জাতে রান্না করা সাকসবজির পুস্তিগুন কমে না যায়।


(৪) আপনি যদি ধূমপান করেন তাহলে আপনাকে আপনার বাজে অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা ধূমপান করেন তাদের বেশি হৃদ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। আপনি যদি নেশাতে আসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে আসতে আসতে পর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।


(৫) আপনি যদি মোটা হন তাহলে আপনাকে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া কমাতে হবে। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে চর্বির পরিমান বাড়তে থাকে যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা বেড়ে যায়।