প্রতিদিন কত পরিমানে জল খাওয়া উচিত? বেশি পরিমানে জল খেলে কি হয়?

 


পৃথিবীতে মানুষের প্রত্যেকটি জীবেরই জল খেতে হয়। জল ছাড়া আমরা কেউই বেঁচে থাকতে পারবোনা। আমরা সকলেই বলে থাকি দিনে প্রচুর পরিমানে জল খেয়ে থাকি কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না দিনে কত লিটার করে জল খেতে হবে। সকলের ক্ষেত্রে জল খাওয়ার পরিমানটি আলাদা আলাদা। প্রচুর পরিমানে জল খেলে যেমন আমাদের শরীর খারাপ হয়ে যায় ঠিক তেমনি কম জল খাওয়ার ফলেও আমাদের শরীর খারাপ হয় যার জন্য একটি নিদিষ্ঠ পরিমানে জল খাওয়া দরকার। 


প্রতিদিন কত পরিমানে জল খাওয়া উচিত? অনেকেই বলে দিনে তিন থেকে চার লিটার জল খায়া উচিত আবার কেউ বলে দু লিটার জল খাওয়া উচিত। বেশি পরিমানে জল খেলে কি হবে? এই প্রশ্ন তা আমাদের অনেকের মধ্যেই হয়ে থাকে কিন্তু আমরা সঠিক ভাবে জানিনা। চলুন জেনে কি দিনে কত লিটার জল খাওয়া উচিত, বেশি জল খাওয়ার ফলে কি হবে ও কম জল খেলে কি হবে।


দিনে কত লিটার জল খাওয়া উচিত :-


দিনে কত লিটার জল খাওয়া দরকার একজন মানুষের পক্ষে। বিশেষজ্ঞড়া মনে করেন এটা সকলের জন্য আলাদা। করোও দিনে তিন লিটার জল খাওয়া উচিত ও কারোর চার লিটার। 


(১) ০৮ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের একদিনে ১.৫ লিটার পর্যন্ত জল খাওয়া দরকার।


(২) ৯ বছর বয়স থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে ও মেয়েদের ৩ লিটারের কাছাকাছি জল খাওয়া উচিত।


(৩) ১৭ বছরের বেশি ছেলেদের কম করে ৩ লিটার জল খেতে হবে। ১৭ বছরের মেয়েদের কম করে দিনে ২.৫ লিটার জল খাওয়া দরকার। বেশি জল খেলে আমাদের ত্বক টানটান থাকে।


(৪) ১৯ বছর বা তার বেশি বয়সের ছেলেদের ৩.৫ লিটার থাকে ৪ লিটার জল প্রতিদিন খাওয়া উচিত। ১৯ বছরের মেয়েদের কম করে দিনে ২.৫ লিটারের বেশি জল খেতে হবে।


আরও পড়ুন:- গলাব্যথা নিরাময়ের ৮ টি উপায় | এই কাজ গুলি প্রতিদিন করুন গলাব্যথা বিদায় নেবে


কিভাবে বুজবেন শরীরে জলের দরকার:-


(১) আপনার শরীরে কতটা জল লাগবে তা আপনি আপনার প্রস্রাবের রং দেখে বুঝতে পারবেন। প্রস্রাবের রং যদি খুব গাঢ় হয় তবে বুঝে নেবেন আপনার শরীরে জলের দরকার। তখন একটু বেশি পরিমানে জল খাওয়ার চেষ্টা করবেন। জল কম খেলে আপনার ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভবনা থাকে। 


(২) জল কম খেলে আমাদের শরীরের ত্বক শুস্ক হতে শুরু করে ও গলা শুকিয়ে যায়। জল কমে যাওয়ার ফলে আমরা শরীরে জলের অভাব বুজতে পারি।


বেশি পরিমানে জল খাওয়ার ফলে কি হতে পারে:-


(১) ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া। ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া বেশি পরিমানে জল খাওয়ার একটি সবচেয়ে বড়ো কারণ। রাতের দিকে একটু কম জল খাওয়ার চেষ্টা করবেন। রাতে প্রস্রাব পাওয়ার কারণে আপনার ঘুমের ক্ষতি হতে পারে।


(২) প্রচুর পরিমানে জল খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর ওভার হাইড্রেসন হয়ে যায় এর ফলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যেতে থাকে। 


(৩) কিডনির সমস্যা থাকলে কম করে জল খাওয়ার চেষ্টা করুন। যতটা দরকার ততটাই জল পান করুন। বেশি পরিমানে জল পান করলে কিডনির সমস্যা তৈরী হতে থাকে।


আরও পড়ুন:- ঘরোয়া উপায় ভিটামিন সি বানানোর উপায় | How to make vitamin C at home



Tags